বাং
বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ নারী। নারী উন্নয়ন তাই জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। সম অংশগ্রহণ ও সমঅংশীদারীত্ব নারীর সাংবিধানিক অধিকার। জাতীয় উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন ও গনতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নারী পুরূষের সমঅংশীদারীত্ব নিশ্চিত হওয়া জরুরী, দূর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশু কল্যাণ, পুষ্টি সম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, সন্ত্রাস সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদত ও মাদক নির্মুল, সার্বিক উন্নয়নে নারীদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার এবং অটিজম কল্যাণে জাতীয় মহিলা সংস্থা নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে নারী পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সেলাই ও এমব্রয়ডারি, জেলাভিত্তিক মহিলা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রকল্প (৬৪ জেলা), নগর ভিত্তিক প্রন্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়), অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প (৩য় পর্যায়) (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং, ফ্যাশান ডিজাইন, বি এন্ড মাশরুম কাল্টিভেশন ও বিউটিফিকেশন) প্রশিক্ষন বিদ্যমান রয়েছে এবং প্রকল্প সমূহের প্রশিক্ষন কার্যক্রম মিলিয়ে ২০২০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি নারী শিশু পাচার প্রতিরোধ, যৌতুক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কল্পে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১২ টি উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ৩৬০ জন মহিলাকে সচেতন করা হয়েছে।
সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ সমূহঃ
জাতীয় মহিলা সংস্থা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শাখায় পর্যাপ্ত বাজেট ও জনবলের অভাব, কর্মকর্তা কর্মচারিদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের অভাব এবং পরিচালনা ব্যাবস্থা অধুনিকীকরন করা।খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর সহ মোট ০৯টি উপজেলা রয়েছে। তার মধ্যে জেলা অফিস ও উপজেলা পর্যায়ে শুধুমাত্র মাটিরাংগা উপজেলায় জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যক্রম চালু রয়েছে। ফলে আরও বাকি ০৮টি উপজেলায় সংস্থার কার্যক্রম সম্প্রসারণ না হওয়ায় ও দুর্গম পাহাড়ী এলাকা ও জনবলের অভাব থাকায় নারী উন্নয়নের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা প্রধান সমস্যা। এসব কারণে সংস্থার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জনে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস